সেপ্টেম্বরের প্রথম ১০ দিনে প্রায় ১.১৩ বিলিয়ন ডলার, অর্থাৎ প্রায় ১৩,৭৮৬ কোটি টাকা প্রবাসী আয় দেশে এসেছে। প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১১ কোটি ৩ লাখ ডলার বা ১,৩৮১ কোটি টাকা। এই ধারা যদি অব্যাহত থাকে, তবে চলতি মাসের শেষে রেমিট্যান্স ৩ বিলিয়ন ডলার ছাড়াতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বললেন, “সেপ্টেম্বরের প্রথম ১০ দিনে ১১৩ কোটি ২০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। গত বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ১৮ কোটি ডলার বেশি।” তিনি আরও যোগ করেন, “যদি এই ধারা চলতে থাকে, পুরো মাসে রেমিট্যান্স ৩ বিলিয়ন ডলারের ওপরে যাবে।”
কিছু মানুষের অভিমত
অনেকেই বলছেন, “সরকার প্রবাসীদের জন্য সুবিধা বাড়িয়েছে। ব্যাংকিং প্রক্রিয়া সহজ হওয়ায় আমরা টাকা পাঠাতে দেরি করি না। তাই রেমিট্যান্স ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।”
আরেকজন বলেন, “আমি নিজেও রেমিট্যান্স পাঠাই, দেশে পরিবার ভোক্তা এবং ব্যবসায়িক কাজে ব্যবহার করে। এই চক্র পুরো দেশের অর্থনীতিকে সাহায্য করছে।”
মাসভিত্তিক রেমিট্যান্স
- জুলাই: ১৯১.৩৭ কোটি ডলার
- আগস্ট: ২২২.১৩ কোটি ডলার
- সেপ্টেম্বর: ২৪০.৪১ কোটি ডলার
- অক্টোবর: ২৩৯.৫০ কোটি ডলার
- নভেম্বর: ২২০ কোটি ডলার
- ডিসেম্বর: ২৬৪ কোটি ডলার
- জানুয়ারি: ২১৯ কোটি ডলার
- ফেব্রুয়ারি: ২৫৩ কোটি ডলার
- মার্চ: ৩২৯ কোটি ডলার (সর্বোচ্চ)
- এপ্রিল: ২৭৫ কোটি ডলার
- মে: ২৯৭ কোটি ডলার
- জুন: ২৮২ কোটি ডলার
বিশেষজ্ঞদের মতামত
অর্থনীতিবিদ ডা. সুমন চ্যাটার্জী বলেন, “সরকারের প্রণোদনা এবং সহজতর প্রক্রিয়ার কারণে প্রবাসীরা ধারাবাহিকভাবে রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন। এটি আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার স্থিতিশীলতার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”
বিশ্লেষক লীনা আহমেদ যোগ করেন, “রেমিট্যান্স শুধু পরিবারের জন্য নয়, দেশের অর্থনীতিতেও বড় অবদান রাখে। এটি বাজারে টাকার প্রবাহ বাড়ায়, বিনিয়োগকে উৎসাহিত করে এবং উন্নয়ন প্রকল্পে সাহায্য করে।”
প্রবাসী আয় দেশের অর্থনীতির জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার। ধারাবাহিক রেমিট্যান্স দেশের বৈদেশিক মুদ্রার জোগান বাড়ায়, ব্যাংকিং খাত সক্রিয় রাখে এবং জনগণের জীবনমান উন্নত করতে সহায়ক।
0 Comments